প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি নারী চাঁদের পথে পা বাড়াতে যাচ্ছেন—এ যেন রূপকথাকে বাস্তব করে তোলা। পদার্থবিদ ও প্রকৌশলী রুথবা ইয়াসমিন সফলভাবে শেষ করেছেন স্পেস নেশন আয়োজিত 'মুন পাইওনিয়র মিশন'-এর কঠোর মহাকাশ প্রশিক্ষণ। এখন তিনি শুধু বাংলাদেশের নয়, বরং বৈশ্বিক মহাকাশ ইতিহাসের এক গর্বিত মুখ।
রুথবার এই যাত্রা বিস্ময়ের এক নতুন মাত্রা যোগ করে, কারণ নারীরা যেখানে মহাকাশে এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ নন, সেখানে তিনি EVA (Extra Vehicular Activity) স্পেশালিস্ট হিসেবে চাঁদের মাটিতে হাঁটার জন্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন।
১৬ এপ্রিল স্পেস নেশন ঘোষণা করে যে তাদের নারীকেন্দ্রিক মিশনের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রুথবা, যিনি ঢাকার স্কলাস্টিকা স্কুল থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট হোলিওক কলেজ ও ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ আলাবামা পর্যন্ত দীর্ঘ এক শিক্ষাজীবন পাড়ি দিয়েছেন।
তিনি গবেষণা করেছেন জিওম্যাগনেটিক স্টর্ম নিয়ে—যা তাকে মহাকাশবিজ্ঞানের প্রতি আরও একাগ্র করে তোলে। প্রশিক্ষণে তিনি EVA ইউনিটে থাকাকালে চাঁদের পৃষ্ঠে হাঁটা, রেডিয়েশন প্রতিরোধ ও সম্পদ আহরণে সরাসরি অংশ নেন। পরবর্তীতে মিশন কন্ট্রোলেও গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত ভূমিকা রাখেন।
এই ঐতিহাসিক যাত্রা শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়—এটি বাংলাদেশ এবং বৈশ্বিক মহাকাশবিজ্ঞানের জন্যও এক মাইলফলক। রুথবা বলেন,
"আমি চাই বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে চাঁদে পা রাখতে। এটি হবে শুধু আমার নয়, পুরো জাতির গর্বের বিষয়।"
তিনি আরও বলেন,"নারীরা যখন মহাকাশে এগিয়ে যায়, তখন শুধু বিজ্ঞান নয়, সমাজও এগোয়।"
রুথবার প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা, আত্মবিশ্বাস, এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আগামী প্রজন্মের নারীদের নতুন স্বপ্ন দেখতে উদ্বুদ্ধ করবে। এই গল্প শুধু চাঁদের পথে এক নারীর যাত্রা নয়—এটি এক জাতির স্বপ্ন ছোঁয়ার অঙ্গীকার।
-পার্বত্য সময়