স্মরণে হুমায়ূন আহমেদ: কথার জাদুকরের জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি

বাংলা সাহিত্যের এক অমর জাদুকরের নাম হুমায়ূন আহমেদ। তিনি শুধু একজন লেখকই নন, তিনি বাংলা ভাষার সাহিত্য, নাটক, চলচ্চিত্র, গান—সব ক্ষেত্রেই রেখে গেছেন অনন্য স্বাক্ষর।

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ এ ১৪:০০
স্মরণে হুমায়ূন আহমেদ: কথার জাদুকরের জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি

হুমায়ূন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত


বাংলা সাহিত্যের এক অমর জাদুকরের নাম হুমায়ূন আহমেদ। তিনি শুধু একজন লেখকই নন, তিনি বাংলা ভাষার সাহিত্য, নাটক, চলচ্চিত্র, গান—সব ক্ষেত্রেই রেখে গেছেন অনন্য স্বাক্ষর। আজ ১৩ই নভেম্বর, তার জন্মদিন। এই দিনে ১৯৪৮ সালে তিনি নেত্রকোণার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার জীবন ও কর্মের মাধ্যমে তিনি কোটি মানুষের হৃদয়ে চিরকালীন জায়গা করে নিয়েছেন।
হুমায়ূন আহমেদের লেখালেখির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে তার প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে প্রকাশের মাধ্যমে। প্রথম উপন্যাসেই তিনি পাঠকদের মন জয় করতে সক্ষম হন। এরপর তিনি একের পর এক জনপ্রিয় উপন্যাস, ছোটগল্প, এবং নাটক রচনা করেছেন। তার লেখা ভাষার সরলতা ও গভীর জীবনবোধের জন্য সব বয়সের পাঠকদের কাছে প্রিয়। শঙ্খনীল কারাগার, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প—প্রতিটি রচনায় তিনি তার সাহিত্য প্রতিভার ছাপ রেখেছেন।
হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যে দুটি জনপ্রিয় চরিত্র উপহার দিয়েছেন—হিমু ও মিসির আলি। একদিকে হিমু যেখানে বাস্তবতাবিহীন এক ফ্যান্টাসির জগতে বসবাস করে, অন্যদিকে মিসির আলি যুক্তি ও বাস্তবতার প্রতীক। এই দুই চরিত্রই পাঠকদের মাঝে অসাধারণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং আজও পাঠকের মনকে দোলা দেয়।
বাংলাদেশের নাটক ও চলচ্চিত্র জগতে হুমায়ূন আহমেদের অবদান অনস্বীকার্য। তার রচিত নাটকগুলো যেমন টেলিভিশনে নতুন মাত্রা এনে দেয়, তেমনই তার পরিচালিত চলচ্চিত্রগুলো দেশের সিনেমার মান বাড়িয়ে তোলে। আগুনের পরশমণি, শ্রাবণ মেঘের দিন, এবং ঘেটুপুত্র কমলা তার পরিচালিত বিখ্যাত চলচ্চিত্র।
হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন একাধারে একজন চিত্রপরিচালক, লেখক এবং গীতিকার। তার চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত গানগুলো আজও জনপ্রিয়। সুরের প্রতি তাঁর ভালোবাসা প্রতিটি সৃষ্টিতে প্রকাশ পায়।
ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন সাদাসিধে ও হাস্যোজ্জ্বল এক মানুষ। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। তার প্রয়াণে বাংলা সাহিত্য এক মহীরুহকে হারায়।
আজ হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে আমরা এই মহান স্রষ্টার প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। তাঁর সৃষ্টি যুগ যুগ ধরে বাংলা সাহিত্যে আলো ছড়াবে।হুমায়ূন আহমেদ আমাদের মাঝে নেই, তবে তার লেখা এবং সৃষ্টিগুলো আমাদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবে।

-পার্বত্য সময়


সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য


আপনাকে মন্তব্য করতে হলে লগইন করতে হবে

জাতীয় কাটাগরির আরও খবর পড়ুন

ad